মাধ্যমিক তথ্যের গুরুত্ব ও সীমাবদ্ধতা

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - পরিসংখ্যান - পরিসংখ্যান ১ম পত্র | NCTB BOOK

মাধ্যমিক তথ্যের গুরুত্ব ও সীমাবদ্ধতা

মাধ্যমিক তথ্য (Secondary Data) হলো পূর্বে সংগৃহীত এবং অন্য উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য যা গবেষণা, বিশ্লেষণ বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি সাধারণত বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা গবেষণার মাধ্যমে সংগৃহীত হয়ে থাকে।


মাধ্যমিক তথ্যের গুরুত্ব

১. সময় ও খরচ সাশ্রয়

মাধ্যমিক তথ্য ব্যবহার করলে তথ্য সংগ্রহের জন্য অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হয় না।

২. সহজলভ্যতা

এই তথ্য সহজেই বিভিন্ন প্রকাশনা, সরকারি প্রতিবেদন, এবং অনলাইন উৎস থেকে পাওয়া যায়।

৩. পূর্ববর্তী গবেষণার সহায়ক

মাধ্যমিক তথ্য পূর্ববর্তী গবেষণার ওপর ভিত্তি করে নতুন গবেষণার দিক নির্দেশনা দিতে পারে।

৪. বড় আকারের তথ্যের প্রাপ্যতা

মাধ্যমিক তথ্য সাধারণত বড় আকারের এবং বৃহৎ জনগোষ্ঠীর উপর ভিত্তি করে সংগ্রহ করা হয়, যা গবেষণাকে আরও শক্তিশালী করে।

৫. তুলনামূলক বিশ্লেষণে সহায়ক

মাধ্যমিক তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় বা স্থানের তুলনা করা সহজ হয়।

৬. প্রাথমিক তথ্যের চেকলিস্ট

প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের আগে মাধ্যমিক তথ্য ব্যবহারে গবেষণার ক্ষেত্রটি নির্ধারণ সহজ হয়।


মাধ্যমিক তথ্যের সীমাবদ্ধতা

১. তথ্যের সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন

মাধ্যমিক তথ্যের উৎস সব সময় নির্ভরযোগ্য নাও হতে পারে, ফলে এর সঠিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।

২. আপডেটের অভাব

মাধ্যমিক তথ্য পুরনো বা অপ্রাসঙ্গিক হতে পারে, যা বর্তমান গবেষণার প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ হয়।

৩. তথ্যের প্রাসঙ্গিকতার অভাব

অনেক সময় মাধ্যমিক তথ্য গবেষণার নির্দিষ্ট প্রয়োজন পূরণে অপ্রাসঙ্গিক হতে পারে।

৪. পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনা

তথ্য সংগ্রহকারী সংস্থা বা ব্যক্তির উদ্দেশ্য পক্ষপাতপূর্ণ হতে পারে, যা গবেষণার ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে।

৫. সীমিত নিয়ন্ত্রণ

মাধ্যমিক তথ্য গবেষণার জন্য সংগ্রহ করা হয়নি, তাই এর গুণগত মান বা সংগ্রহ পদ্ধতির ওপর গবেষকের নিয়ন্ত্রণ থাকে না।

৬. অতিরিক্ত তথ্যের জটিলতা

মাধ্যমিক উৎস থেকে প্রাপ্ত অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় তথ্য গবেষণার বিশ্লেষণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।


সারসংক্ষেপ
মাধ্যমিক তথ্য গবেষণার জন্য সময়, খরচ এবং সহজলভ্যতার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর সঠিকতা, প্রাসঙ্গিকতা এবং পক্ষপাতিত্বের কারণে এটি ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। মাধ্যমিক তথ্যকে প্রাথমিক তথ্যের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করলে গবেষণার মান উন্নত হয়।

Content added By
Promotion